আমার প্রানপ্রিয় গ্রাম সৈয়দপুরের ইতিহাস।
আমার প্রানপ্রিয় গ্রাম সৈয়দপুরের ইতিহাস।
বৃহত্তর সিলেটের পশ্চিমাংশে ধানের দেশ,ভাটির দেশ নামে খ্যাত সুনামগঞ্জ অতিপরিচিত একটি নাম। এরই একপ্রান্ত জুড়ে নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে অবস্থান করছে ঐতিহ্যবাহী জনপদ সৈয়দপুর। সৈয়দপুরের রয়েছে অনেক ইতিহাস। গ্রামের পুর্ব নাম ছিল কৃষ্ণপুর। পরবর্তীতে হযরত শাহ জালাল (রহ:) এর অন্যতম সৈয়দ শাহ শামসুদ্দিন (রহ:) তাঁরই নামানুসারে এ গ্রামের নামকরণ করা হয় সৈয়দপুর। এখানে আজও তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত। তখনকার সৈয়দপুরের সাথে কৃষ্ণপুর ছাড়াও একত্রিত হয় গোয়ালগাঁও,হীরণপুর, গয়গড়,একাকামলক্ষ্মী।
১৩০৩ সালে হযরত শাহ জালাল (রহ:)-এর সিলেট আগমন কালে তাঁর সাথে ৩৬০ আউলিয়ার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বয়োবৃদ্ব্ব সহচর ছিলেন সৈয়দ আলাউদ্দিন (রহ:)। হযরত সৈয়দ আলাউদ্দিন (রহ:) এর চারপুত্র ছিলেন। তারা তাঁর সাথে সিলেটে আসেন। তাদের মধ্যে হযরত সৈয়দ শাহ শামসুদ্দিন (রহ:) আতুয়াজান পরগণার কৃষ্ণপুর আগমন করেন। যা আজকের সৈয়দপুর।
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলা এক সময় ছিল পৃথক একটি রাজ্য। ভৌগলিক ও রাজনৈ্তিক ধারাবাহিকতায় বর্তমানে এটি বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য উপজেলা। সেখানে সৈয়দপুর একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। কালের বিবর্তনে অনেক কৃ্তিপুরুষের পদচারণায় মুখরিত ও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে আমাদের এ গ্রাম। বহু কবি,সাহিত্যিক,সাধক,বাউল জন্ম নিয়েছেন এখানে। কথিত আছে, হযরত শাহজালাল (রহ:) এর নির্দেশে হযরত সৈয়দ শাহ শামছুদ্দিন (রহ:) সিলেট থেকে পশ্চিম দিকে তাঁর যাত্রা শুরু করেন। তাঁর মূর্শিদের নির্দেশ ছিল, যেখানে মাগরিবের নামাজের সময় হবে সেখানে যেন তিনি অবস্থান গ্রহন করেন। সৈয়দ শাহ শামছুদ্দিন (রহ:) মাগরিবের নামাজের কিছুক্ষণ পুর্বে একটি ছোট খালে ওজু করেন। তাই ঐ খালের নাম হয় ওজুর খাল। বর্তমানে যা ওজার খাল নামে পরিচিত। তার পর মাগরিবের নামাজের সময় তিনি একটি ছোট নদীর তীরে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন বলে নদীর নাম পড়ে যায় মাগরেবা নদী। যা বর্তমানে মাগুরা নদী নামে খ্যাত। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় এখানে বসবাস করেই তিনি ইসলামের বাণী প্রচারে ব্রত হন।
প্রকাশ থাকে যে, হযরত শাহ শামছুদ্দিন (রহ:) প্রথমে দাউদপুরের দাউদ কোরেশী (রহ:) এর মেয়েকে বিবাহ করেন। তাঁরই ঔরসজাত সন্তান ছিলেন সৈয়দ শাহ হোসেন (রহ:)। তাঁর দুই ছেলে সৈয়দ শাহ আহমদ (রহ:) ও সৈয়দ শাহ মহমুদ (রহ:)। তাদের বংশধরগণই বর্তমান সৈয়দপুরে অধিকাংশ অধিবাসী।
এছাড়া সৈয়দ শাহ শামছুদ্দিন (রহ:) স্থানীয় রাজার মেয়ে মালতিকে বিয়ে করেন। যার ইসলামী নাম মালেকা। কথিত আছে যে, মালতি পীরসাহেবের আগমন বার্তা ও আযানের ধ্বনি শুনে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেন। এ সংবাদে রাজা ক্ষুদ্ব হয়ে তাকে কাষ্ঠে পুড়ানোর জ়ন্য আগুনে ফেলে দেন এবং ঠিক তখনই সৈয়দ শাহ শামছুদ্দিন (রহ:) সেখানে আলৌ্কিকভাবে উপস্থিত হলে এবং সাথে সাথে মালতি “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু” আওয়াজ তুলেন। ফলে আগুন তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। এ ঘটনায় সৈয়দ শাহ শামছুদ্দিন (রহ:) এর একটি কেরামতি প্রকাশ পায়।
হযরত শাহ শামছুদ্দিন (রহ:) এর বংশধরগণ ছাড়াও সৈয়দপুর গ্রামে আরো কয়েকটি বংশের বসতি রয়েছে। তাদের মধ্যে সৈয়দ শাহ তাজ উদ্দিন, সৈয়দ শাহ রুকন উদ্দিন, হযরত দাউদ কোরেশী, সৈয়দ ফুল,শেখ লেদু ও করম আলী আকঞ্জীর বংশধরগণ উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া ও মল্লিক বংশ,খান বংশ,শেখ বংশ,শিকদার বংশ,মীর্জা বংশের বংশধরদের বাস রয়েছে সৈয়দপুর গ্রামে।
https://www.facebook.com/Eknojoresyedpur.com
বৃহত্তর সিলেটের পশ্চিমাংশে ধানের দেশ,ভাটির দেশ নামে খ্যাত সুনামগঞ্জ অতিপরিচিত একটি নাম। এরই একপ্রান্ত জুড়ে নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে অবস্থান করছে ঐতিহ্যবাহী জনপদ সৈয়দপুর। সৈয়দপুরের রয়েছে অনেক ইতিহাস। গ্রামের পুর্ব নাম ছিল কৃষ্ণপুর। পরবর্তীতে হযরত শাহ জালাল (রহ:) এর অন্যতম সৈয়দ শাহ শামসুদ্দিন (রহ:) তাঁরই নামানুসারে এ গ্রামের নামকরণ করা হয় সৈয়দপুর। এখানে আজও তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত। তখনকার সৈয়দপুরের সাথে কৃষ্ণপুর ছাড়াও একত্রিত হয় গোয়ালগাঁও,হীরণপুর, গয়গড়,একাকামলক্ষ্মী।
১৩০৩ সালে হযরত শাহ জালাল (রহ:)-এর সিলেট আগমন কালে তাঁর সাথে ৩৬০ আউলিয়ার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বয়োবৃদ্ব্ব সহচর ছিলেন সৈয়দ আলাউদ্দিন (রহ:)। হযরত সৈয়দ আলাউদ্দিন (রহ:) এর চারপুত্র ছিলেন। তারা তাঁর সাথে সিলেটে আসেন। তাদের মধ্যে হযরত সৈয়দ শাহ শামসুদ্দিন (রহ:) আতুয়াজান পরগণার কৃষ্ণপুর আগমন করেন। যা আজকের সৈয়দপুর।
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলা এক সময় ছিল পৃথক একটি রাজ্য। ভৌগলিক ও রাজনৈ্তিক ধারাবাহিকতায় বর্তমানে এটি বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য উপজেলা। সেখানে সৈয়দপুর একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। কালের বিবর্তনে অনেক কৃ্তিপুরুষের পদচারণায় মুখরিত ও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে আমাদের এ গ্রাম। বহু কবি,সাহিত্যিক,সাধক,বাউল জন্ম নিয়েছেন এখানে। কথিত আছে, হযরত শাহজালাল (রহ:) এর নির্দেশে হযরত সৈয়দ শাহ শামছুদ্দিন (রহ:) সিলেট থেকে পশ্চিম দিকে তাঁর যাত্রা শুরু করেন। তাঁর মূর্শিদের নির্দেশ ছিল, যেখানে মাগরিবের নামাজের সময় হবে সেখানে যেন তিনি অবস্থান গ্রহন করেন। সৈয়দ শাহ শামছুদ্দিন (রহ:) মাগরিবের নামাজের কিছুক্ষণ পুর্বে একটি ছোট খালে ওজু করেন। তাই ঐ খালের নাম হয় ওজুর খাল। বর্তমানে যা ওজার খাল নামে পরিচিত। তার পর মাগরিবের নামাজের সময় তিনি একটি ছোট নদীর তীরে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন বলে নদীর নাম পড়ে যায় মাগরেবা নদী। যা বর্তমানে মাগুরা নদী নামে খ্যাত। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় এখানে বসবাস করেই তিনি ইসলামের বাণী প্রচারে ব্রত হন।
প্রকাশ থাকে যে, হযরত শাহ শামছুদ্দিন (রহ:) প্রথমে দাউদপুরের দাউদ কোরেশী (রহ:) এর মেয়েকে বিবাহ করেন। তাঁরই ঔরসজাত সন্তান ছিলেন সৈয়দ শাহ হোসেন (রহ:)। তাঁর দুই ছেলে সৈয়দ শাহ আহমদ (রহ:) ও সৈয়দ শাহ মহমুদ (রহ:)। তাদের বংশধরগণই বর্তমান সৈয়দপুরে অধিকাংশ অধিবাসী।
এছাড়া সৈয়দ শাহ শামছুদ্দিন (রহ:) স্থানীয় রাজার মেয়ে মালতিকে বিয়ে করেন। যার ইসলামী নাম মালেকা। কথিত আছে যে, মালতি পীরসাহেবের আগমন বার্তা ও আযানের ধ্বনি শুনে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেন। এ সংবাদে রাজা ক্ষুদ্ব হয়ে তাকে কাষ্ঠে পুড়ানোর জ়ন্য আগুনে ফেলে দেন এবং ঠিক তখনই সৈয়দ শাহ শামছুদ্দিন (রহ:) সেখানে আলৌ্কিকভাবে উপস্থিত হলে এবং সাথে সাথে মালতি “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু” আওয়াজ তুলেন। ফলে আগুন তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। এ ঘটনায় সৈয়দ শাহ শামছুদ্দিন (রহ:) এর একটি কেরামতি প্রকাশ পায়।
হযরত শাহ শামছুদ্দিন (রহ:) এর বংশধরগণ ছাড়াও সৈয়দপুর গ্রামে আরো কয়েকটি বংশের বসতি রয়েছে। তাদের মধ্যে সৈয়দ শাহ তাজ উদ্দিন, সৈয়দ শাহ রুকন উদ্দিন, হযরত দাউদ কোরেশী, সৈয়দ ফুল,শেখ লেদু ও করম আলী আকঞ্জীর বংশধরগণ উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া ও মল্লিক বংশ,খান বংশ,শেখ বংশ,শিকদার বংশ,মীর্জা বংশের বংশধরদের বাস রয়েছে সৈয়দপুর গ্রামে।
https://www.facebook.com/Eknojoresyedpur.com
Comments
Post a Comment