জুনায়েদ ইভান ভাইয়ের ৯০ টি উক্তি
জুনায়েদ ইভান ভাইয়ের ৯০ টি উক্তি!!!
১/ একজীবনে একসাথে থাকার পরিকল্পনা করা মানুষ গুলো শেষমেশ দুটো শীতও একসাথে থাকতে পারে নাহ!
২/ জন্মের দশ মিনিট আগে কোথায় ছিলে তুমি ? কী ছিল তোমার ? এমন কিছু তুমি সাথে করে নিয়ে আসোনি যেটা তুমি পৃথিবীতে এসে হারিয়েছো। যাই পাচ্ছো সবই বোনাস। উপভোগ কর এবং খোদার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকো।
৩/ যত ঝড় তুফানই আসুক না কেন তুমি যখন হাসতে থাকবে, নিয়তি তোমাকে কাঁদাতে পারবে না।
৪/ একজন ভুল মানুষ চলে যাবার অর্থ হল সঠিক মানুষটি আসার পথ তৈরী হয়েছে!!
৫/ এই মুহূর্তে পৃথিবীর সব চাইতে সুখী মানুষটা হয়তবা একঘণ্টা পর কাঁদতে কাঁদতে হামাগুড়ি দেবে ! কে জানে ! সুখী এবং সফল হবার একটাই নিয়ম আছে, যা কিছুই হোক না কেন সন্তুষ্ট থাকুন।
কনট্রাডিকশনের একটা নিয়ম হল, যেটা ভুল সেটাকে ঠিক মনে করে যুক্তি খুঁজতে থাকা এবং একসময় সেটাকে ঠিক মনে হওয়া। আপনিও সব কিছুতে সন্তুষ্ট হবার একটা কারণ খুঁজে নিন।
৬/ আমার সব থেকে ভালো বন্ধু হলো আয়না ৷
কারন আমি যখন কাঁদি সে তখন হাসে না !!
৭/ যারা সুযোগ পেলেই মানুষকে তাচ্ছিল্য আর অপমান করতে ছাড়ে না তারাই তোমার সব চাইতে বড় শক্তি; দাঁতে দাঁত চেপে ধরে নীরবে একটা কিছু করার জেদ তো এখান থেকেই আসবে !
৮/ আজ হবে গতকাল,
গতকাল হবে মহাকাল,,
শুধু থেকে যাবে ভালোবাসা চিরকাল!!
৯/ এমন একটা সময় আসে যখন তোমার চারপাশ খুব পাথর হয়ে যাবে চেনা মুখ অচেনা হয়ে যাবে সারাজীবন পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া মানুষ গুলো তোমাকে পাশ কাটিয়ে চলবে,,!!আর কিছু মানুষ খুব দুঃখ প্রকাশ করবে আর তুমি বুক উচিয়ে দীঘ নিঃশাস ফেলবে তখন তোমার মেরুদণ্ড শীতল হয়ে যাবে!! এটাই স্বাভাবিক বিপদের সময় কাছের মানুষেরা এমন দূরে চলে যাবে দুরবীণ দিয়ে ও দেখতে পাবে না!! সব কিছু মেনে নাও একটি কোরআনের আয়াত ভেবে যা তোমার প্রভু বলেছেন নিঃশ্চয় কষ্টের পরে স্বতি আছে!!
১০/ দেয়ালে পিঠ ঠেঁকে না গিয়ে যখন গেঁথে যায় তখন কোনো প্রকার মোটিভেশনই কাজ করে না,,,!!তখন তোমার সবচেয়ে বিস্ময় কর ব্যাপার হলো তুমি বেঁচে আছো বুকের বাম প্রকষ্টে হাত রেখে দেখো এই তো হৃদস্পন্দন হচ্ছে বুঝি??হৃদস্পন্দন হচ্ছে মানে তুমি বেঁচে আছো,,,!!বেঁচে আছো মানে হলো তুমি সকল প্রকার কষ্ট ও যন্ত্রণা কে বুড়ো আজ্ঞুল দেখাচ্ছ,,,!!
১১/ দুনিয়া একটা নাট্য মঞ্চ,,,,!!! এই নাট্য মঞ্চে সবাই কে অভিনয় করে চলতে হয় কখনো হাসি কখনো কান্না,,!!সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হওয়ার পর মেনে নিতে হয় আমার হারানোর কিছুই ছিলো না বলে,,!!কাঁদো কাঁদো মন নিয়ে ও নাট্যশালায়ে হাসতে হয়,,!!
১২/ আচ্ছা... মনোবিজ্ঞানের সাহায্য নিয়ে মানুষ চেনার কোন উপায় কী আছে ?
সিগারেটখোর এক টান দিয়ে ধোঁয়া অর্ধেক গলায় রেখেই বলে দিতে পারবে,এটি ড্যাম সিগারেট ছিল। তারা'খোর আকাশের দিকে তাকিয়েই বলে দিতে পারবে,এই তারাটি কয়েকশো বছর পর মারা যাবে।
দীর্ঘদিন তামাক খেলে সিগারেট চেনা যায়।আকাশের দিকে তাকালে নক্ষত্র চেনা যায়;ত্রিশ বছর মার্বেল আকৃতির দুটি চোখের দিকে তাকাবার পরও মানুষটাকে চেনা যায় না।
১৩/ তোমার সাথে দেখা হবে,কথা হবে,মিষ্টি ও আলাপ হবে। শুধু হবে না ভালোবাসি বলা,
হবে না আলাপচারীতাই দু জনে দু জনার আচমকা জড়িয়ে ধরা।
ইশ!
১৪/ আমি কতটা ভালো আছি? এ প্রশ্নের জবাব যদি আমি খুঁজতে যাই তাহলে উত্তরটা কী হবে? আমি ভালো আছি এ কথা সবাই বলে। কিন্তু সবাই কী ভালো থাকে?
প্রায় প্রতিটা মানুষই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে প্রিয় মানুষটির সাথে সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যায়।
১৫/ কেউ জানে না ;জানাতে নেই!
জেনে গেলেই ভয়;যদি কিনে নেয় আমারে!
কেউ বুঝেনা;বুঝাতে নেই!
বুঝে গেলেই ভয়;যদি বেচেঁ দেয় আমারে!
১৬/ সব চাইতে বড় কারাগার বোধহয় আকাশ। যেখানেই পালাও না কেন , মাথার উপরে একটা আকাশ লেগেই থাকবে। আর সব চাইতে ছোট কারাগার হল মানুষের মন।এত ছোট যে প্রবেশ করা যায় না।
১৭/ সুনীলের কেউ কথা রাখে না কবিতার ভিড়েও কেউ কেউ ঠিকই আছে, যারা মানুষকে দেয়া কথা গুলো রাখার সময় ক্যালকুলেটার নিয়ে প্লাস মাইনাস হিসেব করে না। হিসেব জানা ভাল। নাহলে বাজারের বিক্রেতা ঠকিয়ে দিবে। সবাই বিক্রেতা না। সবাই তোমার কাছে বাণিজ্য করতে আসে নি। কেউ দুচোখে কাপড় বেধে অন্ধের মত ভালবাসতে এসেছে ; তার সাথে বাণিজ্যে যেও না। হিসেব করে ব্যবসা হয় ; ভালবাসা না।
১৮/ এই মুহূর্তে পৃথিবীর সব চাইতে সুখী মানুষটা হয়তবা একঘণ্টা পর কাঁদতে কাঁদতে হামাগুড়ি দেবে ! কে জানে ! সুখী এবং সফল হবার একটাই নিয়ম আছে, যা কিছুই হোক না কেন সন্তুষ্ট থাকুন।
কনট্রাডিকশনের একটা নিয়ম হল, যেটা ভুল সেটাকে ঠিক মনে করে যুক্তি খুঁজতে থাকা এবং একসময় সেটাকে ঠিক মনে হওয়া। আপনিও সব কিছুতে সন্তুষ্ট হবার একটা কারণ খুঁজে নিন।
১৯/ যখন পিপাসা থাকে না তখন একটা পানির বোতলে চোখ গেলে আমরা শুধু বোতলটাই দেখি আর যখন পিপাসা থাকে তখন দেখি বোতলে পানি আছে কিনা ! যখন আলো থাকে তখন মোমটা ড্রয়ারের তলায় অবহেলায় পড়ে থাকে কিন্তু যখন অন্ধকার হয় - সে যত আড়ালেই থাকুক না কেন সবাই তাকে খুঁজে বের করবেই। আপনাকে সেই সময়টার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। উঁচু পাহাড়ে উঠার নিয়মটা খুব সহজ- সেটা হল ভুলেও নিচের দিকে তাকানো যাবে না।
২০/ আপনি সব চাইতে বেশি প্রতারিত হবেন আপনার কাছের মানুষদের কাছ থেকে। আপনাকে সব চাইতে বেশি কষ্ট দেয়া মানুষের তালিকা করলে সেখানে শত্রু না, বন্ধুদের নাম দেখতে পাবেন। শত্রু কখনো বিশ্বাস ঘাতক হয় না, বিশ্বাসঘাতকতা করে কেবল বন্ধু ও কাছের স্বজনরাই।
২১/ ভালোবাসলেই হয় না,
ভালোবেসে যেতে হয়।
প্রথমদিকের উপচে পড়া ভালোবাসা না,
প্রতিদিন ভালোবেসে না গেলে ভালোবাসা একদিন সত্যি মরে যায়।
২২/ আমাদের কোন প্রেমিকা না থাকলেও একটা কেউ ছিল। যার সামনে দাড়ালে আমাদের বুক ধুপ ধুপ করে উঠত। দরজা বন্ধ করে ড্রয়িং খাতায় তাকে আঁকতাম। কপালের টিপ মাঝখান বরাবর না বসলে রাবার দিয়ে মুছে আবার আঁকতাম। সেদিন আর পড়ায় মন বসত না ! কী সব সোনালী দিন ছিল... আহা !
২৩/ পৃথিবীর সব চেয়ে স্বার্থপর বাক্যটি হল ' আমি তোমাকেভালোবাসি' '! এর মানে হল - আমি তোমাকে আমার কাছে চাই। তুমি না চাইলেও আমি চাই তুমিও আমাকে ভালবাসো। তুমি অন্য কোন কারো সাথে বৃষ্টিতে ভিজবে না। আইসক্রিম খাবে না। ঘুমাতে পারবে না পৃথিবীর কোন বিপরীত লিঙ্গের সাথে। তুমি চাইলেও না !
২৪/ পচে যাওয়া দুর্গন্ধময় ফুলের মর্যাদা যে দিতে জানে;তাজা ফুলের সুবাস নেবার অধিকার কেবল সেই রাখে !!
২৫/ একটা চারা গাছ লাগিয়ে সেই যে গেলো সে
আর তো ফিরেও আসে নি;তোমার গোরস্থানে !!
২৬/ অসংখ্য বেইমান চোখ আর ভণ্ড চেনা ছাড়া নিজেকে আর চেনা হল কখন?
২৭/ ভালো সব কিছুর অভ্যাস থাকা ভাল; একমাত্র ভালোবাসা ব্যতিত।
২৮/ মিথ্যের চাইতেও বেশি ভয়ংকর হল অর্ধেক সত্য।
২৯/ বিয়ে করে গর্ধবের মত এক সাথে থাকার চাইতে বেশি রোমাঞ্চকর হল- ডিভোর্স দিয়ে এক সাথে থাকা। এরা ভালবাসে অথচ একসাথে থাকতে চায় না। অথবা একসাথে থাকতে চায় কিন্তু ভালবাসে না। বড় জটিল এই সমীকরণ।
৩০/ একশ ভাগ সুখের জীবনে আপনি কখনোই সুখে থাকতে পারবেন না কেননা সেই জীবন স্বাভাবিক নয়, সমৃদ্ধ নয়, উন্নত নয়, উপভোগ্য নয়।
৩১/ প্রত্যেকটা কর্মী চায় তার নেতা আরও বড় নেতা হয়ে উঠুক; কিন্তু কোন নেতাই চায় না তার কর্মী নেতা হয়ে উঠুক। কেননা তাহলে সে একজন কর্মী হারায়।
৩২/ জন্মের আজান আদায় হয় জানাযায়। যেন জন্মের ঋণ শোধ হল মৃত্যুতে।
৩৩/ সাফল্য ব্যার্থতা বলে আসলে কিছু নেই। জীবনের মূল বক্তব্য- কবর।
৩৪/ পতিতাদের জানাজায় কেউ আসতে চায় না। পাপ হবে। তবে পতিতাদের কাছে যাওয়া যাবে। এদের নগ্ন শরীরে পাপ নেই !!
৩৫/ অনেক কিছুর ব্যাপারে কম্প্রমাইস করা জরুরী। অর্থের ব্যাপারে, রুচি বোধের ব্যাপারে, পছন্দের ব্যাপারে। তবে বিশ্বাসের ব্যাপারে কোন কম্প্রমাইস হয় না। এটাই প্রথম মাঝামাঝি এবং শেষ শর্ত। কেউ যদি ফোন ওয়েটিং পেয়ে Sherlock Holmes হয়ে যায় অথবা তদন্তের জন্য ফেইসবুকের পাসওয়ার্ড চেয়ে বসে, সাথে সাথে বুঝতে হবে বেশির ভাগ মানুষ একটা ভুল সম্পর্কে জড়িয়ে পরে; আপনে তাদেরই একজন।
৩৬/ সে বড় অভিমানি। কেউ চলে গেলে তাকে ফেরাবে না। একা একা কষ্ট পাবে। না খেয়ে থাকবে। তার না খাবার সংবাদ শুনে সে কষ্ট পাবে। এতে এক ধরনের আনন্দ আছে। সে হাত কাটবে। প্রিয় জিনিস ছুঁড়ে ফেলে দিবে। বিসর্জন হল। বিসর্জনে এক ধরনের আনন্দ আছে। আপনি তাকে কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করলে সে হাসি দিয়ে বলবে ভাল আছি। সে বুঝতে দেবে না , সে ভাল নেই। কষ্ট প্রকাশ করলে কষ্ট কমতে শুরু করে। সে কমতে দেবে না। এতেও এক ধরনের তৃপ্ততা আছে।
৩৭/ বাসর রাত মানে শুধু রজনী গন্ধা না। এর মানে আজ সারারাত কেউ বাংলা মদ খাবে। মাতলামি করে পিরিচ ভাঙ্গবে। সকালের দিকে বমি হবে।
ব্যাকস্টেইজে বসে থাকা মানুষ গুলা কেমন থাকে ? কেউ সেদিকটা খেয়াল রাখে না।
সব শালা ব্যস্ত রানের মাংস নিয়ে।
৩৮/ পৃথিবীতে দুটি অনুভূতি কখনোই লিখে প্রকাশ করা যায় না।
১ – পাওয়ার অনুভূতি
২ - হারানোর অনুভূতি
৩৯/ আমি এমন কাউকে হারিয়েছি যে আমাকে ভালোবাসে নি; আর তুমি এমন কাউকে হারিয়েছো যে তোমাকে ভালবেসেছিল।
৪০/ শরীরের সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মৃত্যু হলেও চোখের কোনো মৃত্যু নেই!!তাকালেই দেখবে লাশটা তাকিয়ে আছে!! একদম চিরচেনা পরিচিত সেই তাকানোর ভঙ্গিটা !
৪১/ এই পৃথিবীতে অনেক মানুষই আছে,ধৈর্য্য নিয়ে স্বার্থহীন কথা শোনার কোন মানুষ নেই।
৪২/ একজন ধর্ষক , একজন মাতাল , ঘুষখোর , বেশ্যা এরা প্রত্যেকেই প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ পাবে ; আত্মহত্যা আপনাকে প্রায়শ্চিত্ত করার কোন সুযোগ দিবে না।
৪৩/ যখন কেউ জেনে যাবে আপনাকে তার যতখানি প্রয়োজন, তার চাইতেও তাকে আপনার বেশি প্রয়োজন, তখনই সে আপনাকেঅবহেলা করতে শুরু করবে। অবহেলার অশ্রু দু ধরনের হয়।একটি হল অভিমান আর অন্যটি অপমান।
৪৪/ এই যে আপনি নিজের দুর্বলতা নিয়ে না ভেবে অন্যের দুর্বলতা নিয়ে মেতে থাকছেন, এতে অন্যের না, বরং আপনার দুর্বলতা প্রকাশ পায়।
৪৫/ মানুষ সামাজিক জীব না। মানুষ ব্যাক্তিগত জীব। একশ মানুষের মৃত্যুর থেকে ব্যাক্তিগত একশ ডিগ্রী জ্বর আমাদের অধিক ভাবিয়ে তোলে।
৪৬/ তোমাকে চিনতে ভুল করেছি তোমার চোখ দুটোর কারণে। যখন তাকিয়েছি এক মুহূর্তের জন্যও মনে হয় নি এই নিষ্পাপ চোখ দুটো - বেইমানী করতে জানে!!!!
এক তরফা ভালোবাসার সব চাইতে বড় কষ্ট এটা না যে ওপাশের মানুষটা তাকে ভালোবাসে না। বড় কষ্ট হল মানুষটা তার অব্যাক্ত ভালোবাসা কোনদিন বুঝতেই পারল না !!
৪৭/ কী আছে এর ভেতরে ? সামান্য কটা কাঠের
টুকরোয় কতগুলো রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে
কাগজের মুণ্ড বানিয়ে মুদ্রার সিল বসিয়ে দিলে;
আর গোটা পৃথিবীটা সেটার কাছে বিক্রি হয়ে
গেলো ?
দাফনের কাপড়, মায়ের ওষুধ , নারীর বক্ষ ,
রজনীগন্ধার স্টিক সব কিছুর মূল্যই তো নির্ধারণ
করলে তোমরা; সমুদ্রও নাকি আজকাল কেনাবেচা
হয়। সালিশ দরবার হয় আন্তর্জাতিক আদালতে। আজ
তবে বলে যাও, জ্যান্ত একটা মানুষের মূল্য কত ?
৪৮/ আপনি যখন আল্লাহ্র উপর ভরসা রেখে কোন কাজকরবেন দেখবেন আল্লাহ্পাকই সেই কাজটা সহজ করেদিবে। যে ঈমান তোমাকে ঘর থেকে মসজিদে
আনতে পারে না সেই ঈমান কেমন করে পৃথিবী
থেকে জান্নাতে নিয়ে যাবে ??
৪৯/ প্রিয় মানুষ বলেও আসলে কিছু নেই। ব্যাপারটা ক্ষেত্র বিশেষ। আজ যে মানুষটিকে খুব কাছের বলে মনে হচ্ছে ; মানুষটির সাথে পরিচয় না হলে এমনটা হত না।আপনার জন্ম লেবানন কিংবা জাপানে হলে আপনি অবশ্যই সেই দেশের কোন মানুষকে ভালবাসতেন।..
তিনবার কবুল না বলেও মন দিয়েছিলে যাকে
কেন তাকে শুধালে- 'আমাদের একটা বাবু হবে।
বাবুর নাম হবে হাবিজাবি হাবিজাবি !! '
৫০/ অসংখ্য বেইমান চোখ আর ভণ্ড চেনা ছাড়া নিজেকে আর চেনা হল কখন?
৫১/ আমাকে মৃত্যু শিখাতে এসো না
আমার জন্মই হয়েছে কবরে।
সবাই নেশায় ডুবে আছে ঠিক একদিন
ঘোর কাটবে মৃত্যর আগের দিন হলেও
৫২/ এই পৃথিবীতে মানুষকে হত্যা করার অপরাধে যত মানুষ শাস্তি পেয়েছে তার চেয়ে বেশি পেয়েছে মানুষকে ভালোবাসার অপরাধে।
৫৩/ আপনার সমস্যা আপনারই সমস্যা; অন্য কারো না। আহত যোদ্ধা যত শক্তিশালীই হোক না কেন , সৈন্য শিবিরে সে একপ্রকার বোঝা !
৫৪/ "যেখান থেকে তুমি জন্মনিয়েছো,
তার আগে অনেক কোটি বছর ছিলো তুমি ছিলে না, এবং যেখান থেকে তুমি বিদায় নিবে তার পরে,আরো অনেক কোটি বছর থাকবে তুমি থাকবে না।
৫৫/ আমি জানি একদিন আমি থাকবো না ৷ অনুপস্থিত হয়ে যাব ৷ কেউ কেউ হয়তো আমাদের
গান গুলো বাজাবে ভোর ৫ টায় ! আমি নেই তবুও আমাকে ডাকলেই পাওয়া যাবে '''হেডফোনের ছিদ্র দিয়ে ফিস ফিস করবো সারারাত কী আশ্চর্য !!
৫৬/ অযথা কথা বলার চেয়ে অযথা কাজ করা ভালো। অযথা কথা পরিবেশ বদলে ফেলে, বিপদ ডেকে আনে। কথার খেই হারিয়ে বাধে হট্রগোল।
৫৭/ মিথ্যের চাইতেও বেশি ভয়ংকর হল অর্ধেক সত্য।
৫৮/ তোমার উপস্থিতির গুরুত্বটা তাকে বোঝাবার জন্য তোমার অনুপস্থিতিটা প্রয়োজন।
৫৯/ সৌন্দর্য কালো অথবা সাদার উপরে নির্ভর করে না। কালো অথবা সাদা একটি ‘রঙ’ ছাড়া আর কিছু না। রঙ কথা বলতে পারে না। গান গাইতে পারে না। রঙ নেহাত কিছু কেমিস্ট্রির খেলা। আর যাই হোক - কেমিস্ট্রি কোন সৌন্দর্যের ব্যাখ্যা হতে পারে না।
৬০/ বিখ্যাত লেখক তল্স্তোয় নারীদের নিয়ে কৌতুক করে বলতেন '' মেয়েরা সাধারণত এতটাই বোকা যে একজন বুদ্ধিমতী মেয়ে এবং একজন বোকা মেয়ের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই।''
আমারও তলস্তয়ের মত করে বলতে ইচ্ছে করছে- আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় মেধার মাপকাঠিটা এমন যে, একজন গোল্ডেন এ প্লাস পাওয়া ছাত্র এবং একজন ফেল করা ছাত্রের মাঝে খুব একটা পার্থক্য নেই।
৬১/ কপালের যেখানটায় বসন্তের দাগছিল;
সবাই চোখ ফিরিয়ে নিত ঘেন্নায় !
সেখানটায় চুমো খেয়ে বুঝিয়ে দিতে হয়
ভালোবাসা জিনিসটা সবার জন্য আসেনি৷
৬২/ যে তোমাকে ঠকাতে চাইবে তুমি যাই করো না
কেন ;সে তোমাকে ঠকাবেই। এখন ব্যাপারটা
তোমার হাতে।
বিশ্বাস করে ঠকতে চাও নাকি অবিশ্বাস করে???
৬৩/ তোমার তলপেটে জন্ম নেয়া যুবকের পিতার মত করে কবিতা লিখতে পারতাম না;নাহলে তোমাকে পাওয়া যেত !
৬৪/ বছরের পর বছর আয়নার সামনে দাড়িয়ে চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে একসময় মানুষ নিজেকে ভালবেসে ফেলে।
৬৫/ এই বেকারত্ব জীবনে তোমাকে পাওয়া
আর সমুদ্রের তলদেশ থেকে একটা আলপিন
খুঁজে পাবার মতই; অসম্ভব।
৬৬/ তারিখ বদলে যাবে;সময় বদলে যাবে,
ক্যালেন্ডারের পাতা ঘুরবে মানুষটা আর বদলাবে না!
একা মানুষটা একাই থাকবেই।
৬৭/ অন্য কাউকে দেখতে বলছো?
কপালের টিপ ঠিক আছে কিনা.
মানুষ সরে যায় কপাল সরে যায়..
টিপ ঠিক করে আর কি লাভ বলো??
৬৮/ পৃথিবীতে দু ধরনের মানুষ আছে। একদল
ভালবাসে বেশি প্রকাশ করে কম। আরেকদল
প্রকাশ করে বেশি; ভালোবাসে কম।
৬৯/ তোমাকে আর নতুন
করে পাবার কি আছে!
'তুমি তো আছোই'
এই নিশ্চিত বাক্যটি আমাকে,
তোমাকে ভালবাসতে দেয়নি।
৭০/ উনিশে বাড়ি ফেরার সময় রোজ এক গুচ্ছ রজনীগন্ধা নিয়ে আসা মানুষটাই পঞ্চাশের পর বাড়ি ফিরবে রোজ ওষুধপত্র নিয়ে। উনিশের প্রেম পত্রটাই যেন একটা সময় এসে থামবে প্রেসক্রিপশনে ! উনিশে মাথায় হাত বুলিয়ে চুলের প্রশংশা করা মানুষটা ষাটে এসে হাত বুলিয়ে প্রেশারের খোঁজ নিবে। কি সাংঘাতিক, তাই না?!!
৭১/ আমার ক্ষেত্রে কেউ আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলে আমি তাকে ক্ষমা করে দেই কেননা আমি নিজেই সব চাইতে বেশি আমার বিশ্বাস ভঙ্গ করেছি। অন্যকে ক্ষমা করার অনেক গুলো উপকার আছে, সব চাইতে বড় উপকার হল নিজের প্রতি নিজের শ্রদ্ধাবোধ বেড়ে যায়। যে কখনো আমাকে ক্ষমা করেনি আমি তাকেও ক্ষমা করে দেই!!
৭২/ পাঁচশো কোটি বছর বয়সের পুরো পৃথিবীটা হল ৫১,০১,০০,৫০০ বর্গ কিলোমিটারের একটা গোরস্থান !! আমরা সবাই এই গোরস্থানের অমীমাংসিত অংশ !!
৭৩/ সময় একদিন বুঝিয়ে দিবে তুমি কাকে খুঁজতে গিয়ে কাকে হারিয়ে ফেলেছো।
৭৪/ আপনি যতবার অতীত নিয়ে চিন্তা করবেন ততবার আপনার স্মৃতি পুনর্গঠিত হবে। স্মৃতিকে প্রশ্রয় দিবেন না,একটা স্মৃতি প্রথমে একা আপনার দরজায় কড়া নাড়বে, যেই আপনি দরজা খুলে দিবেন দেখবেন আরও অনেক স্মৃতি ভেতরে ঢুকে পড়েছে।
৭৫/ "সাধারণত বড়লোকের মেয়ে গুলো সুন্দর হয়; কেননা মেয়ের বাবার টাকা বেশি এবং শুধু মাত্র এই যোগ্যতায় তিনি মেয়ের সুন্দরী মা কে বিয়ে করেছিলেন ! ক্লিয়ার ?"
৭৬/ প্রতিশোধ অন্য ভাবেও নেওয়া যায়।কেউ তোমাকে মেরে রক্তাক্ত করে ফেললে তুমি অপেক্ষা করবে কবে তার রক্তের প্রয়োজন হবে, এবং সেই রক্ত তুমি নিজেই তাকে যোগাড় করে দিবে।
৭৭/ তোমাকে চিনতে ভুল করেছি তোমার চোখ দুটোর কারণে। যতবার তাকিয়েছি, এক মুহূর্তের জন্যও মনে হয় নি এই নিষ্পাপ চোখ দুটো - বেইমানী করতে জানে।
৭৮/ যেখানে সবাই গরু সেখানে নেতা হয়ে উঠে একটা বলদ।সবাই যেখানে ছাগল সেখানে মহানায়ক হয় রাম ছাগলেরা !!
৭৯/ পৃথিবীটা এমন যে এখানে খাটি মাটির মানুষ হলে তুমি টিকে থাকতে পারবে না। সাথে দু চারটা ইটও রাখতে হয়। মাটি দিয়ে দালান হয় না, যেটা হয় সেটা উড়ে যায় কালবৈশাখী ঝড়ে।।
৮০/ কেউ কারো জায়গা নিতে পারে না। একজনের শূন্যস্থান কখনো অন্যজন পূরণ করতে পারে না। শূন্যস্থানের নিচে যেমন দাগ( ------) থাকে ; অন্তরেও থাকে।
৮১/ আমি বোধহয় তোমাকে অর্ধেক পেয়েছি। আর অর্ধেক আমাকে! তোমার বাকি অর্ধেকটা যাকে দিয়েছো, আমার বাকি অর্ধেকটা যে পেয়েছে... তাদের দুজনের মনেও কী অর্ধেক না পাওয়ার অশান্তি ? আমাদের মতই সব ছারখার লাগে রাতে ?
৮২/মানুষ আসবে; যাবে। যার দিকে তাকিয়ে দুটা রাত সময় দিবে তার জন্যই একটা মায়া চলে আসবে। মায়া খুব তুচ্ছ জিনিস। মায়াময় কিছু না; তোমাকে শুধু একটা শুদ্ধ মানুষ খুঁজে নিতে হবে।
৮৩/ একটা মানুষকে কতবার সুযোগ দেয়া যায় ?
এই প্রশ্নের উত্তর হল একবার। প্রথমবার সে ভুল করে; তাকে সেটা শুধরাবার সুযোগ দিতে হয়।
দ্বিতীয় বার মানুষটি একই কাজ করলে বুঝতে হবে; মানুষটা ভুল কিছু করেনি। তুমি ভুল করে একটা ভুল মানুষকে ভালোবেসেছিলে।
৮৪/ যুদ্ধে নিশ্চিত হেরে যাবার আগ মুহূর্তে একজন যোদ্ধার কাছে দুটা পথ খোলা থাকে। হয় সে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করবে আর নাহয় আত্মসমর্পণ!
যদি সে মৃত্যু জেনেও লড়ে যায় তাহলে; নিজের ভাগ্যকে সপে দিল নিজের হাতে। আর যদি আত্মসমর্পণ করে তাহলে; ভাগ্যকে সে সপে দিল শত্রুর হাতে !
৮৫/ তোমার ভেতরে যা আছে আর যা নেই সেটা স্বয়ং তিনি দিয়েছেন যিনি তোমাকে বানিয়েছেন এবং নিশ্চয়ই তিনি কখনো ভুল করেন না।
৮৬/ এই পৃথিবীতে কেউই কারো জন্যে অপরিহার্য না।
৮৭/ আপনার সমস্যা আপনারই সমস্যা; অন্য কারো না। আহত যোদ্ধা যত শক্তিশালীই হোক না কেন , সৈন্য শিবিরে সে একপ্রকার বোঝা !
৮৮/ আমরা আসলে মানুষের কাছে হারি না আমরা হারি আমাদের ইমোশনের কাছে।
৮৯/ অনেকেই আছে যাদের মোবাইলে একটা সংযোগ বিচ্ছিন্ন নাম্বার থাকে। যে নাম্বারে ফোন করে মানুষটাকে পাওয়া যায়না। অনেক মাস পর অনেক বছর পর কোন কোন রাতে ডায়াল করা হয়। তবুও একটা ক্ষীণ আশা ! এই বুঝি ' হ্যালো' কণ্ঠটি বেজে উঠবে।
৯০/ ' আমি তোমাকে ভালোবাসি' এটা আসলে বলবার বিষয় না। ভন্ড এবং প্রতারকরাও বলে, বরংচ বেশিই বলে। এটা করে দেখাতে হয়।
ধন্যবাদ শেয়ার করবেন।
১/ একজীবনে একসাথে থাকার পরিকল্পনা করা মানুষ গুলো শেষমেশ দুটো শীতও একসাথে থাকতে পারে নাহ!
২/ জন্মের দশ মিনিট আগে কোথায় ছিলে তুমি ? কী ছিল তোমার ? এমন কিছু তুমি সাথে করে নিয়ে আসোনি যেটা তুমি পৃথিবীতে এসে হারিয়েছো। যাই পাচ্ছো সবই বোনাস। উপভোগ কর এবং খোদার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকো।
৩/ যত ঝড় তুফানই আসুক না কেন তুমি যখন হাসতে থাকবে, নিয়তি তোমাকে কাঁদাতে পারবে না।
৪/ একজন ভুল মানুষ চলে যাবার অর্থ হল সঠিক মানুষটি আসার পথ তৈরী হয়েছে!!
৫/ এই মুহূর্তে পৃথিবীর সব চাইতে সুখী মানুষটা হয়তবা একঘণ্টা পর কাঁদতে কাঁদতে হামাগুড়ি দেবে ! কে জানে ! সুখী এবং সফল হবার একটাই নিয়ম আছে, যা কিছুই হোক না কেন সন্তুষ্ট থাকুন।
কনট্রাডিকশনের একটা নিয়ম হল, যেটা ভুল সেটাকে ঠিক মনে করে যুক্তি খুঁজতে থাকা এবং একসময় সেটাকে ঠিক মনে হওয়া। আপনিও সব কিছুতে সন্তুষ্ট হবার একটা কারণ খুঁজে নিন।
৬/ আমার সব থেকে ভালো বন্ধু হলো আয়না ৷
কারন আমি যখন কাঁদি সে তখন হাসে না !!
৭/ যারা সুযোগ পেলেই মানুষকে তাচ্ছিল্য আর অপমান করতে ছাড়ে না তারাই তোমার সব চাইতে বড় শক্তি; দাঁতে দাঁত চেপে ধরে নীরবে একটা কিছু করার জেদ তো এখান থেকেই আসবে !
৮/ আজ হবে গতকাল,
গতকাল হবে মহাকাল,,
শুধু থেকে যাবে ভালোবাসা চিরকাল!!
৯/ এমন একটা সময় আসে যখন তোমার চারপাশ খুব পাথর হয়ে যাবে চেনা মুখ অচেনা হয়ে যাবে সারাজীবন পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া মানুষ গুলো তোমাকে পাশ কাটিয়ে চলবে,,!!আর কিছু মানুষ খুব দুঃখ প্রকাশ করবে আর তুমি বুক উচিয়ে দীঘ নিঃশাস ফেলবে তখন তোমার মেরুদণ্ড শীতল হয়ে যাবে!! এটাই স্বাভাবিক বিপদের সময় কাছের মানুষেরা এমন দূরে চলে যাবে দুরবীণ দিয়ে ও দেখতে পাবে না!! সব কিছু মেনে নাও একটি কোরআনের আয়াত ভেবে যা তোমার প্রভু বলেছেন নিঃশ্চয় কষ্টের পরে স্বতি আছে!!
১০/ দেয়ালে পিঠ ঠেঁকে না গিয়ে যখন গেঁথে যায় তখন কোনো প্রকার মোটিভেশনই কাজ করে না,,,!!তখন তোমার সবচেয়ে বিস্ময় কর ব্যাপার হলো তুমি বেঁচে আছো বুকের বাম প্রকষ্টে হাত রেখে দেখো এই তো হৃদস্পন্দন হচ্ছে বুঝি??হৃদস্পন্দন হচ্ছে মানে তুমি বেঁচে আছো,,,!!বেঁচে আছো মানে হলো তুমি সকল প্রকার কষ্ট ও যন্ত্রণা কে বুড়ো আজ্ঞুল দেখাচ্ছ,,,!!
১১/ দুনিয়া একটা নাট্য মঞ্চ,,,,!!! এই নাট্য মঞ্চে সবাই কে অভিনয় করে চলতে হয় কখনো হাসি কখনো কান্না,,!!সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হওয়ার পর মেনে নিতে হয় আমার হারানোর কিছুই ছিলো না বলে,,!!কাঁদো কাঁদো মন নিয়ে ও নাট্যশালায়ে হাসতে হয়,,!!
১২/ আচ্ছা... মনোবিজ্ঞানের সাহায্য নিয়ে মানুষ চেনার কোন উপায় কী আছে ?
সিগারেটখোর এক টান দিয়ে ধোঁয়া অর্ধেক গলায় রেখেই বলে দিতে পারবে,এটি ড্যাম সিগারেট ছিল। তারা'খোর আকাশের দিকে তাকিয়েই বলে দিতে পারবে,এই তারাটি কয়েকশো বছর পর মারা যাবে।
দীর্ঘদিন তামাক খেলে সিগারেট চেনা যায়।আকাশের দিকে তাকালে নক্ষত্র চেনা যায়;ত্রিশ বছর মার্বেল আকৃতির দুটি চোখের দিকে তাকাবার পরও মানুষটাকে চেনা যায় না।
১৩/ তোমার সাথে দেখা হবে,কথা হবে,মিষ্টি ও আলাপ হবে। শুধু হবে না ভালোবাসি বলা,
হবে না আলাপচারীতাই দু জনে দু জনার আচমকা জড়িয়ে ধরা।
ইশ!
১৪/ আমি কতটা ভালো আছি? এ প্রশ্নের জবাব যদি আমি খুঁজতে যাই তাহলে উত্তরটা কী হবে? আমি ভালো আছি এ কথা সবাই বলে। কিন্তু সবাই কী ভালো থাকে?
প্রায় প্রতিটা মানুষই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে প্রিয় মানুষটির সাথে সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যায়।
১৫/ কেউ জানে না ;জানাতে নেই!
জেনে গেলেই ভয়;যদি কিনে নেয় আমারে!
কেউ বুঝেনা;বুঝাতে নেই!
বুঝে গেলেই ভয়;যদি বেচেঁ দেয় আমারে!
১৬/ সব চাইতে বড় কারাগার বোধহয় আকাশ। যেখানেই পালাও না কেন , মাথার উপরে একটা আকাশ লেগেই থাকবে। আর সব চাইতে ছোট কারাগার হল মানুষের মন।এত ছোট যে প্রবেশ করা যায় না।
১৭/ সুনীলের কেউ কথা রাখে না কবিতার ভিড়েও কেউ কেউ ঠিকই আছে, যারা মানুষকে দেয়া কথা গুলো রাখার সময় ক্যালকুলেটার নিয়ে প্লাস মাইনাস হিসেব করে না। হিসেব জানা ভাল। নাহলে বাজারের বিক্রেতা ঠকিয়ে দিবে। সবাই বিক্রেতা না। সবাই তোমার কাছে বাণিজ্য করতে আসে নি। কেউ দুচোখে কাপড় বেধে অন্ধের মত ভালবাসতে এসেছে ; তার সাথে বাণিজ্যে যেও না। হিসেব করে ব্যবসা হয় ; ভালবাসা না।
১৮/ এই মুহূর্তে পৃথিবীর সব চাইতে সুখী মানুষটা হয়তবা একঘণ্টা পর কাঁদতে কাঁদতে হামাগুড়ি দেবে ! কে জানে ! সুখী এবং সফল হবার একটাই নিয়ম আছে, যা কিছুই হোক না কেন সন্তুষ্ট থাকুন।
কনট্রাডিকশনের একটা নিয়ম হল, যেটা ভুল সেটাকে ঠিক মনে করে যুক্তি খুঁজতে থাকা এবং একসময় সেটাকে ঠিক মনে হওয়া। আপনিও সব কিছুতে সন্তুষ্ট হবার একটা কারণ খুঁজে নিন।
১৯/ যখন পিপাসা থাকে না তখন একটা পানির বোতলে চোখ গেলে আমরা শুধু বোতলটাই দেখি আর যখন পিপাসা থাকে তখন দেখি বোতলে পানি আছে কিনা ! যখন আলো থাকে তখন মোমটা ড্রয়ারের তলায় অবহেলায় পড়ে থাকে কিন্তু যখন অন্ধকার হয় - সে যত আড়ালেই থাকুক না কেন সবাই তাকে খুঁজে বের করবেই। আপনাকে সেই সময়টার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। উঁচু পাহাড়ে উঠার নিয়মটা খুব সহজ- সেটা হল ভুলেও নিচের দিকে তাকানো যাবে না।
২০/ আপনি সব চাইতে বেশি প্রতারিত হবেন আপনার কাছের মানুষদের কাছ থেকে। আপনাকে সব চাইতে বেশি কষ্ট দেয়া মানুষের তালিকা করলে সেখানে শত্রু না, বন্ধুদের নাম দেখতে পাবেন। শত্রু কখনো বিশ্বাস ঘাতক হয় না, বিশ্বাসঘাতকতা করে কেবল বন্ধু ও কাছের স্বজনরাই।
২১/ ভালোবাসলেই হয় না,
ভালোবেসে যেতে হয়।
প্রথমদিকের উপচে পড়া ভালোবাসা না,
প্রতিদিন ভালোবেসে না গেলে ভালোবাসা একদিন সত্যি মরে যায়।
২২/ আমাদের কোন প্রেমিকা না থাকলেও একটা কেউ ছিল। যার সামনে দাড়ালে আমাদের বুক ধুপ ধুপ করে উঠত। দরজা বন্ধ করে ড্রয়িং খাতায় তাকে আঁকতাম। কপালের টিপ মাঝখান বরাবর না বসলে রাবার দিয়ে মুছে আবার আঁকতাম। সেদিন আর পড়ায় মন বসত না ! কী সব সোনালী দিন ছিল... আহা !
২৩/ পৃথিবীর সব চেয়ে স্বার্থপর বাক্যটি হল ' আমি তোমাকেভালোবাসি' '! এর মানে হল - আমি তোমাকে আমার কাছে চাই। তুমি না চাইলেও আমি চাই তুমিও আমাকে ভালবাসো। তুমি অন্য কোন কারো সাথে বৃষ্টিতে ভিজবে না। আইসক্রিম খাবে না। ঘুমাতে পারবে না পৃথিবীর কোন বিপরীত লিঙ্গের সাথে। তুমি চাইলেও না !
২৪/ পচে যাওয়া দুর্গন্ধময় ফুলের মর্যাদা যে দিতে জানে;তাজা ফুলের সুবাস নেবার অধিকার কেবল সেই রাখে !!
২৫/ একটা চারা গাছ লাগিয়ে সেই যে গেলো সে
আর তো ফিরেও আসে নি;তোমার গোরস্থানে !!
২৬/ অসংখ্য বেইমান চোখ আর ভণ্ড চেনা ছাড়া নিজেকে আর চেনা হল কখন?
২৭/ ভালো সব কিছুর অভ্যাস থাকা ভাল; একমাত্র ভালোবাসা ব্যতিত।
২৮/ মিথ্যের চাইতেও বেশি ভয়ংকর হল অর্ধেক সত্য।
২৯/ বিয়ে করে গর্ধবের মত এক সাথে থাকার চাইতে বেশি রোমাঞ্চকর হল- ডিভোর্স দিয়ে এক সাথে থাকা। এরা ভালবাসে অথচ একসাথে থাকতে চায় না। অথবা একসাথে থাকতে চায় কিন্তু ভালবাসে না। বড় জটিল এই সমীকরণ।
৩০/ একশ ভাগ সুখের জীবনে আপনি কখনোই সুখে থাকতে পারবেন না কেননা সেই জীবন স্বাভাবিক নয়, সমৃদ্ধ নয়, উন্নত নয়, উপভোগ্য নয়।
৩১/ প্রত্যেকটা কর্মী চায় তার নেতা আরও বড় নেতা হয়ে উঠুক; কিন্তু কোন নেতাই চায় না তার কর্মী নেতা হয়ে উঠুক। কেননা তাহলে সে একজন কর্মী হারায়।
৩২/ জন্মের আজান আদায় হয় জানাযায়। যেন জন্মের ঋণ শোধ হল মৃত্যুতে।
৩৩/ সাফল্য ব্যার্থতা বলে আসলে কিছু নেই। জীবনের মূল বক্তব্য- কবর।
৩৪/ পতিতাদের জানাজায় কেউ আসতে চায় না। পাপ হবে। তবে পতিতাদের কাছে যাওয়া যাবে। এদের নগ্ন শরীরে পাপ নেই !!
৩৫/ অনেক কিছুর ব্যাপারে কম্প্রমাইস করা জরুরী। অর্থের ব্যাপারে, রুচি বোধের ব্যাপারে, পছন্দের ব্যাপারে। তবে বিশ্বাসের ব্যাপারে কোন কম্প্রমাইস হয় না। এটাই প্রথম মাঝামাঝি এবং শেষ শর্ত। কেউ যদি ফোন ওয়েটিং পেয়ে Sherlock Holmes হয়ে যায় অথবা তদন্তের জন্য ফেইসবুকের পাসওয়ার্ড চেয়ে বসে, সাথে সাথে বুঝতে হবে বেশির ভাগ মানুষ একটা ভুল সম্পর্কে জড়িয়ে পরে; আপনে তাদেরই একজন।
৩৬/ সে বড় অভিমানি। কেউ চলে গেলে তাকে ফেরাবে না। একা একা কষ্ট পাবে। না খেয়ে থাকবে। তার না খাবার সংবাদ শুনে সে কষ্ট পাবে। এতে এক ধরনের আনন্দ আছে। সে হাত কাটবে। প্রিয় জিনিস ছুঁড়ে ফেলে দিবে। বিসর্জন হল। বিসর্জনে এক ধরনের আনন্দ আছে। আপনি তাকে কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করলে সে হাসি দিয়ে বলবে ভাল আছি। সে বুঝতে দেবে না , সে ভাল নেই। কষ্ট প্রকাশ করলে কষ্ট কমতে শুরু করে। সে কমতে দেবে না। এতেও এক ধরনের তৃপ্ততা আছে।
৩৭/ বাসর রাত মানে শুধু রজনী গন্ধা না। এর মানে আজ সারারাত কেউ বাংলা মদ খাবে। মাতলামি করে পিরিচ ভাঙ্গবে। সকালের দিকে বমি হবে।
ব্যাকস্টেইজে বসে থাকা মানুষ গুলা কেমন থাকে ? কেউ সেদিকটা খেয়াল রাখে না।
সব শালা ব্যস্ত রানের মাংস নিয়ে।
৩৮/ পৃথিবীতে দুটি অনুভূতি কখনোই লিখে প্রকাশ করা যায় না।
১ – পাওয়ার অনুভূতি
২ - হারানোর অনুভূতি
৩৯/ আমি এমন কাউকে হারিয়েছি যে আমাকে ভালোবাসে নি; আর তুমি এমন কাউকে হারিয়েছো যে তোমাকে ভালবেসেছিল।
৪০/ শরীরের সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মৃত্যু হলেও চোখের কোনো মৃত্যু নেই!!তাকালেই দেখবে লাশটা তাকিয়ে আছে!! একদম চিরচেনা পরিচিত সেই তাকানোর ভঙ্গিটা !
৪১/ এই পৃথিবীতে অনেক মানুষই আছে,ধৈর্য্য নিয়ে স্বার্থহীন কথা শোনার কোন মানুষ নেই।
৪২/ একজন ধর্ষক , একজন মাতাল , ঘুষখোর , বেশ্যা এরা প্রত্যেকেই প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ পাবে ; আত্মহত্যা আপনাকে প্রায়শ্চিত্ত করার কোন সুযোগ দিবে না।
৪৩/ যখন কেউ জেনে যাবে আপনাকে তার যতখানি প্রয়োজন, তার চাইতেও তাকে আপনার বেশি প্রয়োজন, তখনই সে আপনাকেঅবহেলা করতে শুরু করবে। অবহেলার অশ্রু দু ধরনের হয়।একটি হল অভিমান আর অন্যটি অপমান।
৪৪/ এই যে আপনি নিজের দুর্বলতা নিয়ে না ভেবে অন্যের দুর্বলতা নিয়ে মেতে থাকছেন, এতে অন্যের না, বরং আপনার দুর্বলতা প্রকাশ পায়।
৪৫/ মানুষ সামাজিক জীব না। মানুষ ব্যাক্তিগত জীব। একশ মানুষের মৃত্যুর থেকে ব্যাক্তিগত একশ ডিগ্রী জ্বর আমাদের অধিক ভাবিয়ে তোলে।
৪৬/ তোমাকে চিনতে ভুল করেছি তোমার চোখ দুটোর কারণে। যখন তাকিয়েছি এক মুহূর্তের জন্যও মনে হয় নি এই নিষ্পাপ চোখ দুটো - বেইমানী করতে জানে!!!!
এক তরফা ভালোবাসার সব চাইতে বড় কষ্ট এটা না যে ওপাশের মানুষটা তাকে ভালোবাসে না। বড় কষ্ট হল মানুষটা তার অব্যাক্ত ভালোবাসা কোনদিন বুঝতেই পারল না !!
৪৭/ কী আছে এর ভেতরে ? সামান্য কটা কাঠের
টুকরোয় কতগুলো রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে
কাগজের মুণ্ড বানিয়ে মুদ্রার সিল বসিয়ে দিলে;
আর গোটা পৃথিবীটা সেটার কাছে বিক্রি হয়ে
গেলো ?
দাফনের কাপড়, মায়ের ওষুধ , নারীর বক্ষ ,
রজনীগন্ধার স্টিক সব কিছুর মূল্যই তো নির্ধারণ
করলে তোমরা; সমুদ্রও নাকি আজকাল কেনাবেচা
হয়। সালিশ দরবার হয় আন্তর্জাতিক আদালতে। আজ
তবে বলে যাও, জ্যান্ত একটা মানুষের মূল্য কত ?
৪৮/ আপনি যখন আল্লাহ্র উপর ভরসা রেখে কোন কাজকরবেন দেখবেন আল্লাহ্পাকই সেই কাজটা সহজ করেদিবে। যে ঈমান তোমাকে ঘর থেকে মসজিদে
আনতে পারে না সেই ঈমান কেমন করে পৃথিবী
থেকে জান্নাতে নিয়ে যাবে ??
৪৯/ প্রিয় মানুষ বলেও আসলে কিছু নেই। ব্যাপারটা ক্ষেত্র বিশেষ। আজ যে মানুষটিকে খুব কাছের বলে মনে হচ্ছে ; মানুষটির সাথে পরিচয় না হলে এমনটা হত না।আপনার জন্ম লেবানন কিংবা জাপানে হলে আপনি অবশ্যই সেই দেশের কোন মানুষকে ভালবাসতেন।..
তিনবার কবুল না বলেও মন দিয়েছিলে যাকে
কেন তাকে শুধালে- 'আমাদের একটা বাবু হবে।
বাবুর নাম হবে হাবিজাবি হাবিজাবি !! '
৫০/ অসংখ্য বেইমান চোখ আর ভণ্ড চেনা ছাড়া নিজেকে আর চেনা হল কখন?
৫১/ আমাকে মৃত্যু শিখাতে এসো না
আমার জন্মই হয়েছে কবরে।
সবাই নেশায় ডুবে আছে ঠিক একদিন
ঘোর কাটবে মৃত্যর আগের দিন হলেও
৫২/ এই পৃথিবীতে মানুষকে হত্যা করার অপরাধে যত মানুষ শাস্তি পেয়েছে তার চেয়ে বেশি পেয়েছে মানুষকে ভালোবাসার অপরাধে।
৫৩/ আপনার সমস্যা আপনারই সমস্যা; অন্য কারো না। আহত যোদ্ধা যত শক্তিশালীই হোক না কেন , সৈন্য শিবিরে সে একপ্রকার বোঝা !
৫৪/ "যেখান থেকে তুমি জন্মনিয়েছো,
তার আগে অনেক কোটি বছর ছিলো তুমি ছিলে না, এবং যেখান থেকে তুমি বিদায় নিবে তার পরে,আরো অনেক কোটি বছর থাকবে তুমি থাকবে না।
৫৫/ আমি জানি একদিন আমি থাকবো না ৷ অনুপস্থিত হয়ে যাব ৷ কেউ কেউ হয়তো আমাদের
গান গুলো বাজাবে ভোর ৫ টায় ! আমি নেই তবুও আমাকে ডাকলেই পাওয়া যাবে '''হেডফোনের ছিদ্র দিয়ে ফিস ফিস করবো সারারাত কী আশ্চর্য !!
৫৬/ অযথা কথা বলার চেয়ে অযথা কাজ করা ভালো। অযথা কথা পরিবেশ বদলে ফেলে, বিপদ ডেকে আনে। কথার খেই হারিয়ে বাধে হট্রগোল।
৫৭/ মিথ্যের চাইতেও বেশি ভয়ংকর হল অর্ধেক সত্য।
৫৮/ তোমার উপস্থিতির গুরুত্বটা তাকে বোঝাবার জন্য তোমার অনুপস্থিতিটা প্রয়োজন।
৫৯/ সৌন্দর্য কালো অথবা সাদার উপরে নির্ভর করে না। কালো অথবা সাদা একটি ‘রঙ’ ছাড়া আর কিছু না। রঙ কথা বলতে পারে না। গান গাইতে পারে না। রঙ নেহাত কিছু কেমিস্ট্রির খেলা। আর যাই হোক - কেমিস্ট্রি কোন সৌন্দর্যের ব্যাখ্যা হতে পারে না।
৬০/ বিখ্যাত লেখক তল্স্তোয় নারীদের নিয়ে কৌতুক করে বলতেন '' মেয়েরা সাধারণত এতটাই বোকা যে একজন বুদ্ধিমতী মেয়ে এবং একজন বোকা মেয়ের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই।''
আমারও তলস্তয়ের মত করে বলতে ইচ্ছে করছে- আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় মেধার মাপকাঠিটা এমন যে, একজন গোল্ডেন এ প্লাস পাওয়া ছাত্র এবং একজন ফেল করা ছাত্রের মাঝে খুব একটা পার্থক্য নেই।
৬১/ কপালের যেখানটায় বসন্তের দাগছিল;
সবাই চোখ ফিরিয়ে নিত ঘেন্নায় !
সেখানটায় চুমো খেয়ে বুঝিয়ে দিতে হয়
ভালোবাসা জিনিসটা সবার জন্য আসেনি৷
৬২/ যে তোমাকে ঠকাতে চাইবে তুমি যাই করো না
কেন ;সে তোমাকে ঠকাবেই। এখন ব্যাপারটা
তোমার হাতে।
বিশ্বাস করে ঠকতে চাও নাকি অবিশ্বাস করে???
৬৩/ তোমার তলপেটে জন্ম নেয়া যুবকের পিতার মত করে কবিতা লিখতে পারতাম না;নাহলে তোমাকে পাওয়া যেত !
৬৪/ বছরের পর বছর আয়নার সামনে দাড়িয়ে চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে একসময় মানুষ নিজেকে ভালবেসে ফেলে।
৬৫/ এই বেকারত্ব জীবনে তোমাকে পাওয়া
আর সমুদ্রের তলদেশ থেকে একটা আলপিন
খুঁজে পাবার মতই; অসম্ভব।
৬৬/ তারিখ বদলে যাবে;সময় বদলে যাবে,
ক্যালেন্ডারের পাতা ঘুরবে মানুষটা আর বদলাবে না!
একা মানুষটা একাই থাকবেই।
৬৭/ অন্য কাউকে দেখতে বলছো?
কপালের টিপ ঠিক আছে কিনা.
মানুষ সরে যায় কপাল সরে যায়..
টিপ ঠিক করে আর কি লাভ বলো??
৬৮/ পৃথিবীতে দু ধরনের মানুষ আছে। একদল
ভালবাসে বেশি প্রকাশ করে কম। আরেকদল
প্রকাশ করে বেশি; ভালোবাসে কম।
৬৯/ তোমাকে আর নতুন
করে পাবার কি আছে!
'তুমি তো আছোই'
এই নিশ্চিত বাক্যটি আমাকে,
তোমাকে ভালবাসতে দেয়নি।
৭০/ উনিশে বাড়ি ফেরার সময় রোজ এক গুচ্ছ রজনীগন্ধা নিয়ে আসা মানুষটাই পঞ্চাশের পর বাড়ি ফিরবে রোজ ওষুধপত্র নিয়ে। উনিশের প্রেম পত্রটাই যেন একটা সময় এসে থামবে প্রেসক্রিপশনে ! উনিশে মাথায় হাত বুলিয়ে চুলের প্রশংশা করা মানুষটা ষাটে এসে হাত বুলিয়ে প্রেশারের খোঁজ নিবে। কি সাংঘাতিক, তাই না?!!
৭১/ আমার ক্ষেত্রে কেউ আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলে আমি তাকে ক্ষমা করে দেই কেননা আমি নিজেই সব চাইতে বেশি আমার বিশ্বাস ভঙ্গ করেছি। অন্যকে ক্ষমা করার অনেক গুলো উপকার আছে, সব চাইতে বড় উপকার হল নিজের প্রতি নিজের শ্রদ্ধাবোধ বেড়ে যায়। যে কখনো আমাকে ক্ষমা করেনি আমি তাকেও ক্ষমা করে দেই!!
৭২/ পাঁচশো কোটি বছর বয়সের পুরো পৃথিবীটা হল ৫১,০১,০০,৫০০ বর্গ কিলোমিটারের একটা গোরস্থান !! আমরা সবাই এই গোরস্থানের অমীমাংসিত অংশ !!
৭৩/ সময় একদিন বুঝিয়ে দিবে তুমি কাকে খুঁজতে গিয়ে কাকে হারিয়ে ফেলেছো।
৭৪/ আপনি যতবার অতীত নিয়ে চিন্তা করবেন ততবার আপনার স্মৃতি পুনর্গঠিত হবে। স্মৃতিকে প্রশ্রয় দিবেন না,একটা স্মৃতি প্রথমে একা আপনার দরজায় কড়া নাড়বে, যেই আপনি দরজা খুলে দিবেন দেখবেন আরও অনেক স্মৃতি ভেতরে ঢুকে পড়েছে।
৭৫/ "সাধারণত বড়লোকের মেয়ে গুলো সুন্দর হয়; কেননা মেয়ের বাবার টাকা বেশি এবং শুধু মাত্র এই যোগ্যতায় তিনি মেয়ের সুন্দরী মা কে বিয়ে করেছিলেন ! ক্লিয়ার ?"
৭৬/ প্রতিশোধ অন্য ভাবেও নেওয়া যায়।কেউ তোমাকে মেরে রক্তাক্ত করে ফেললে তুমি অপেক্ষা করবে কবে তার রক্তের প্রয়োজন হবে, এবং সেই রক্ত তুমি নিজেই তাকে যোগাড় করে দিবে।
৭৭/ তোমাকে চিনতে ভুল করেছি তোমার চোখ দুটোর কারণে। যতবার তাকিয়েছি, এক মুহূর্তের জন্যও মনে হয় নি এই নিষ্পাপ চোখ দুটো - বেইমানী করতে জানে।
৭৮/ যেখানে সবাই গরু সেখানে নেতা হয়ে উঠে একটা বলদ।সবাই যেখানে ছাগল সেখানে মহানায়ক হয় রাম ছাগলেরা !!
৭৯/ পৃথিবীটা এমন যে এখানে খাটি মাটির মানুষ হলে তুমি টিকে থাকতে পারবে না। সাথে দু চারটা ইটও রাখতে হয়। মাটি দিয়ে দালান হয় না, যেটা হয় সেটা উড়ে যায় কালবৈশাখী ঝড়ে।।
৮০/ কেউ কারো জায়গা নিতে পারে না। একজনের শূন্যস্থান কখনো অন্যজন পূরণ করতে পারে না। শূন্যস্থানের নিচে যেমন দাগ( ------) থাকে ; অন্তরেও থাকে।
৮১/ আমি বোধহয় তোমাকে অর্ধেক পেয়েছি। আর অর্ধেক আমাকে! তোমার বাকি অর্ধেকটা যাকে দিয়েছো, আমার বাকি অর্ধেকটা যে পেয়েছে... তাদের দুজনের মনেও কী অর্ধেক না পাওয়ার অশান্তি ? আমাদের মতই সব ছারখার লাগে রাতে ?
৮২/মানুষ আসবে; যাবে। যার দিকে তাকিয়ে দুটা রাত সময় দিবে তার জন্যই একটা মায়া চলে আসবে। মায়া খুব তুচ্ছ জিনিস। মায়াময় কিছু না; তোমাকে শুধু একটা শুদ্ধ মানুষ খুঁজে নিতে হবে।
৮৩/ একটা মানুষকে কতবার সুযোগ দেয়া যায় ?
এই প্রশ্নের উত্তর হল একবার। প্রথমবার সে ভুল করে; তাকে সেটা শুধরাবার সুযোগ দিতে হয়।
দ্বিতীয় বার মানুষটি একই কাজ করলে বুঝতে হবে; মানুষটা ভুল কিছু করেনি। তুমি ভুল করে একটা ভুল মানুষকে ভালোবেসেছিলে।
৮৪/ যুদ্ধে নিশ্চিত হেরে যাবার আগ মুহূর্তে একজন যোদ্ধার কাছে দুটা পথ খোলা থাকে। হয় সে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করবে আর নাহয় আত্মসমর্পণ!
যদি সে মৃত্যু জেনেও লড়ে যায় তাহলে; নিজের ভাগ্যকে সপে দিল নিজের হাতে। আর যদি আত্মসমর্পণ করে তাহলে; ভাগ্যকে সে সপে দিল শত্রুর হাতে !
৮৫/ তোমার ভেতরে যা আছে আর যা নেই সেটা স্বয়ং তিনি দিয়েছেন যিনি তোমাকে বানিয়েছেন এবং নিশ্চয়ই তিনি কখনো ভুল করেন না।
৮৬/ এই পৃথিবীতে কেউই কারো জন্যে অপরিহার্য না।
৮৭/ আপনার সমস্যা আপনারই সমস্যা; অন্য কারো না। আহত যোদ্ধা যত শক্তিশালীই হোক না কেন , সৈন্য শিবিরে সে একপ্রকার বোঝা !
৮৮/ আমরা আসলে মানুষের কাছে হারি না আমরা হারি আমাদের ইমোশনের কাছে।
৮৯/ অনেকেই আছে যাদের মোবাইলে একটা সংযোগ বিচ্ছিন্ন নাম্বার থাকে। যে নাম্বারে ফোন করে মানুষটাকে পাওয়া যায়না। অনেক মাস পর অনেক বছর পর কোন কোন রাতে ডায়াল করা হয়। তবুও একটা ক্ষীণ আশা ! এই বুঝি ' হ্যালো' কণ্ঠটি বেজে উঠবে।
৯০/ ' আমি তোমাকে ভালোবাসি' এটা আসলে বলবার বিষয় না। ভন্ড এবং প্রতারকরাও বলে, বরংচ বেশিই বলে। এটা করে দেখাতে হয়।
ধন্যবাদ শেয়ার করবেন।
Comments
Post a Comment